বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা টেকে মাত্র কয়েক মাস: গবেষণা

বিডিনিউজ : নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি পরবর্তীতে তাদের সুরক্ষা দেবে বলে যে আশার কথা বলা হচ্ছে, তাতে জল ঢেলে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফল।

লন্ডনের কিংস কলেজের এই গবেষক দল বলছেন, নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরবর্তী সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা টেকে মাত্র কয়েক মাস।

তার মানে এই দাঁড়ায় যে, আক্রান্তরা কয়েক মাস পর আবার আক্রান্ত হতে পারেন। প্রতি বছরই আক্রান্ত হতে পারেন একই ব্যক্তি, যতক্ষণ না পর্যন্ত একটি টিকা আসে। তবে টিকাও তাদের নিশ্চিত সুরক্ষা দেবে কিনা তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছে গবেষকদের।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন ৯০ জনের বেশি মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে সাড়া দিচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সবচেয়ে বেশি কার্যকর থাকে এবং তারপর দ্রুত তা কমে যেতে শুরু করে।

‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকা জানায়, রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে, ‍উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকার সময় ৬০ শতাংশ মানুষের দেহে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু সুস্থ হওয়ার তিন মাস পর ‍মাত্র ১৭ শতাংশ মানুষের দেহে সেই অ্যান্টিবডি থাকে।

বেশিরভাগের ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডির মাত্রা ২৩ গুণ পর্যন্ত কমে যায়। এমনকী কয়েক জনের রক্তে অ্যান্টিবডি শনাক্ত পর্যন্ত করা যায়নি।

গবেষক দলের প্রধান ড. কেটি ডোরস বলেন, ‘‘আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জেতার মত পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি হ্রাস পেতে থাকে। আপনি কতটা লড়াই করতে পেরেছিলেন তার উপরও অ্যান্টিবডি কতদিন শরীরে স্থায়ী হবে তা নির্ভর করে।”

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ ঠিক কতটা কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারবে সে প্রশ্নের সন্ধানে এবং টিকা উন্নয়নের জন্য এ গবেষণা তাৎপর্যপূর্ণ।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নানাভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু সেই লড়াইয়ের মূল অস্ত্রটি যদি হয় অ্যান্টিবডি তাহলে গবেষণা বলছে,   ঋতু পরিবর্তনের সময়কার সর্দি-কাশির মত মানুষ আবার ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে টিকাও হয়ত বেশিদিন সুরক্ষা দিতে পারবে না।

ড. ডোরস বলেন, ‘‘সংক্রমিত হলে মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি রোগ প্রতিরোধে সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু যদি সংক্রমিত হওয়ার পর শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি মাত্র দুই থেকে তিন মাস স্থায়ী হয় এবং তারপর হ্রাস পায় তবে টিকা দেওয়া হলেও সম্ভবত একই অবস্থা হবে।”

“তাই হয়ত মানুষকে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর এক ডোজ টিকা নেওয়াই হয়ত যথেষ্ট হবে না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888